যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে অন্যের বউ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন একই উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন। এ বিষয়ে মামলা করায় মামলা প্রত্যাহার ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে সে ।
রোববার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান বলেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ সভাপতি ছেট দিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফির টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাড়িতে আসত। এভাবে সে আমার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিকীর মা সালমা খাতুনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করে।
এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। এমন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই আমার শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ও তার দুই ছেলে মুছা ও ইব্রাহিম আমার বাড়ি আসে। তাদের জন্য বাজার থেকে কেনাকাটা করে ফিরে শুনি ছেলেকে ফেলে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সবাই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে বাড়ি থেকে চলে গেছে।
এ সময় তারা আমার নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গয়না নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আমি স্ত্রীকে ফেরত আনতে শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী সালমা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গে বসবাস শুরু করে। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি।
আসামি সাদেকুর রহমান মামলার খবর পেয়ে আমাকে খুন করার হুমকি দিতে থাকে। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে কোটচাঁদপুর যাওয়ার সময় সাদেকুর তার সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে আটকায়। এ সময় তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে মারপিট করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে আমাকে আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেওয়া হয।
এ বিষয়ে আমি ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করি। এরপর থেকে তারা সিলেটে থাকত। বর্তমানে সাদেকুর আবার চৌগাছায় এসে থাকছে এবং এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হত্যাসহ হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছে। তিনি আরো বলেন, বিবাহিত ব্যক্তি কিভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারে? এ ছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে মামলা করে হয়রানি করতে পারে।
তিনি এসবের প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অভিযুক্ত সাদেকুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের তালাক হয়ে যায়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আমি সালমা খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। আমরা আড়াই বছর সংসার করছি। তার আগের স্বামী যেসব অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা।
আমি তার বউকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত একজনকে আমি বিয়ে করেছি। সংবাদ মম্মেলনে সোলাইমান হোসেনের সাথে তার শিশুপুত্র আবু বক্কার সিদ্দিক উপস্থিত ছিল।