গ্রাহকদের নানা অভিযোগে অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মানিকগঞ্জে সিংগাইর থেকে তিনজনকে আটকের একদিন পরেও কোন মামলা হয়নি। গতকাল সোমবার তাদের আটকের পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমার শর্তে গতকাল রাতেই আটক ব্যক্তিদের স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয় উপজেলা প্রশাসন।উদ্ধারকৃত ৩৯ লাখ টাকা দেওয়া হয় পুলিশের জিম্মায়।
তবে আজ দুপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার যথোপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পুলিশে সোপর্দ করার কথা জানালেও থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা জানান, ‘ইভ্যালি নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস বসিয়ে গ্রাহককে বেশি মুনাফার প্রলোভন ও বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি করতো। চাহিদাকৃত পণ্য সময়মতো না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতারণা করে আসছিল ওই প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা সোমবার দুপুরে পারিল বাজারে অবস্থিত ইভ্যালির অফিস থেকে নগদ ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকাসহ অফিসটি ব্যবস্থাপক বলধরা গ্রামের সুরুয মিয়ার ছেলে বিপ্লবকে (২৫) আটক করেন।
একই সঙ্গে সহকারী ব্যবস্থাপক পারিল গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে ববিদুল ইসলাম (২৫) ও পারিল নওধা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে জামালকে (৩৮) আটক করা হয়।অবশ্য আটককৃতরা জানিয়েছিলেন, তারা ইভ্যালির নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলে কিংবা অনলাইনে নানান ধরনের পণ্যের অর্ডার নেন। পরে তা গ্রাহকদের পৌঁছে দিয়ে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ভুক্তভোগীরা তাকে অভিযোগ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকাশ ও নগদে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ে থাকেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোবাইল কোর্ট আইন মোতাবেক এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক দণ্ড দেওয়ার সুযোগ নাই। বর্ণিতবস্থায় মোবাইল কোর্ট আইনের ৬ (৫) ধারা মোতাবেক জব্দ তালিকা ও
জব্দকৃত মালামালসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মানিকগঞ্জ জেলা মেজিস্ট্রেট বরাবরে পাঠাতে এবং অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য ।