যশোর শিক্ষা বোর্ডে নানা রকমের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। এক ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টা, একদিনের কাজ এক মাস লেগে যাচ্ছে। আবার কোন যোগাযোগ না থাকলে কাজই হচ্ছে না। করোনার দোহায় দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বোর্ডে কাজে আসা শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
সূত্রের দাবি, বোর্ডে মার্কশিট যাচাই বাছাইয়ের কাজ করতে সময় লাগে এক থেকে দুই ঘন্টা। কিন্তু পটুয়াখালী থেকে আসা সমীর কুন্ডু সেই কাজ করার জন্য গেটে কাগজপত্র জমা দিয়ে চারঘন্টা পর তাকে সেবা পেতে হয়েছে। যশোর শহরের বেজপাড়ার আকাশ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, নাম সংশোধনের জন্য সব নিয়মনীতি মেনে গত জুলাই মাসের ৫ তারিখে বোর্ডের গেটে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম।
একমাসেও কোনো ফলাফল পাইনি। একমাস পর গত ৫ আগস্ট অন্য লোকমারফত যোগাযোগ করে নিজের কাজটি সম্পন্ন করি। আমি গেটে যে কাগজ জমা দিয়েছিলাম তা সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছায়নি। ফলে ফের আবেদন করতে হয়েছিল। একই ধরণের ভোগান্তির অভিযোগ করেন বাগেরহাট থেকে আসা মৃদুল কুমার কুন্ডু, শিক্ষক আব্দুর রহিমসহ আরো কয়েকজন । এই বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোর্ডের অনেক কাজ আছে যা প্রার্থীকে স্বশরীরে না আসলেও হয়। অন লাইনে আবেদন করলেই হবে। তবে বোর্ড মিটিং ছাড়া করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যে কারণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে সভা করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বোর্ডের অভ্যন্তরে বিনা অনুমতিতে অবাধে ঢোকার কোনো নিয়ম নেই। কেউ যদি প্রবেশ করে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাম সংশোধন, বয়স সংশোধনের জন্য বোর্ডে আসার প্রয়োজন হয় না। অনলাইনে আবেদন করলেই হয়।