চার দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর জবির একমাত্র “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল” উদ্বোধনের অপেক্ষায়। দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই খুলে দেওয়া হবে। হলের সার্বিক কাজ শেষ হওয়ায় এখন তা ছাত্রীদের থাকার উপযোগী হয়েছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হল খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে হলের নির্মাণকাজ শুরু হয়।চার দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ প্রকল্পের প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন। তৃতীয় দফায় ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় মেয়াদ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০ তলা ভিত্তির ওপর ১৬ তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬ মাস। প্রকল্প বাস্তবায়নের ভার দেওয়া হয় শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের ওপর। ১১১ কক্ষবিশিষ্ট হলটিতে একটি লাইব্রেরি, একটি ক্যান্টিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, আটটি গোসলখানা, ছাত্রীদের ওঠানামার জন্য চারটি লিফট স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আবাসিক হলে ছাত্রী উঠানো হবে। তবে নীতিমালা এখনো প্রস্তুত করেনি কর্তৃপক্ষ। নীতিমালা নির্ধারণের জন্য পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৬ তলা বিশিষ্ট এই হলে এক হাজার ছাত্রী আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী হলে ছাত্রী উঠানো প্রসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নীতিমালা সংগ্রহ করেছি। সেগুলো অনুযায়ী আমরা একটা নীতিমালা প্রণয়ন করব এবং ঐ নীতিমালা অনুযায়ী হলে ছাত্রী উঠানো হবে। ক্যাম্পাস খুললে আমরা হলে ছাত্রী উঠাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালা অনুযায়ী হলে ছাত্রী তোলা হবে। সিন্ডিকেট সভায় হলে ছাত্রী তোলা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে সে অনুযায়ী ছাত্রী তুলবো।