স্টাফ রিপোর্টার-
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলা সংঘর্ষের ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এ ইস্যুতে দুই দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করি। সুতরাং মিয়ানমারে যদি কোনো পরিস্থিতির উদ্বেগ ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে তাদেরও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশীকে নিয়ে, তাই আমরা একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। সেজন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব বলে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আমরা ভারতের সহযোগিতা সবসময় চেয়েছি, এবারও চেয়েছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।’
মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে বিএনপি যে আছে সেটি জানান দিতে চায়। এখানে মিয়ানমারের যত সদস্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে তাদের বিষয়ে আমরা সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। এখানে লুকোচুরি করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশাকরি খুব সহসা তাদের ফেরত পাঠাতে পারব।’
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি। স্টার্ট দিয়ে একটু চালু রাখার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তেরি হয়েছে কর্মসূচি দিয়ে এসব হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। সরকারের প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাদের অগ্নি-সন্ত্রাস আর করতে দেওয়া হবে না।’