গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় পারভীন বেগম শায়লা (৩৮) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অন্য চারজন আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভীন বেগম শায়লা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় পারভীন বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জের মালাধর গ্রামের মো. আয়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. বিপুল মিয়া (৪০), দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রমজান আলী (৪৫) ও বড়গলি এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সাজু মিয়া (৩৫) এবং সোহাগ হাসান।
আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, আসামিকে মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদিত হওয়ার পর রায়টি কার্যকর হবে। আপিল করতে মনস্থির করলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পারভীন বেগম শায়লাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত হেরোইন এরই মধ্যে ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে বগুড়াগামী পায়রা মেইল বাসে চেপে কয়েকজন মাদক কারবারি হেরোইন নিয়ে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মোড়ে অবস্থান করে বাসটিকে থামালে কয়েকজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাস থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পারভীন বেগম শায়লার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৫০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনে মামলা দায়ের করেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন বেগম শায়লা জানান, বাসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তায় তিনি হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কাজে সহযোগিতা করে মো. বিপুল মিয়া ও মো. রমজান আলীসহ পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা। কিন্তু অন্য পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন ওই নারী।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবু আলা মো. সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু, হানিফ বেলাল, বেগম হেলালী ও শাহনেওয়াজ খান।