1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

মুজিববর্ষের উপহার কিছু মানুষ ভেঙেছে

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২০৯

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর নির্মাণ করা হলেও মাত্র ৩০০ ঘরে ত্রুটি ধরা পড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর কিছু লোক হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙেছে এবং মিডিয়া তা প্রচার করেছে। যারা ঘর ভেঙেছে, তাদের নামের তালিকাসহ তদন্ত প্রতিবেদন আমার হাতে রয়েছে।’গণভবনে আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সভা সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত চলে। এতে অর্ধশত নেতা উপস্থিত ছিলেন।এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো, আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেব, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এতো জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটি জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে, ঘর ভেঙে পড়ছে। কোনো জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পর পুরো সার্ভে করালাম যে, কোথায় কী হচ্ছে। সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো (ঘর) ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সব বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে যে পুরো রিপোর্টটা আছে।’

ঘর ভেঙে পড়ার পেছনের কারণ গণমাধ্যম অনুসন্ধান করেনি অভিযোগ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু (করে) না।’

তদন্তে নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক জায়গায় ৬০০ ঘর। সেখানে হয়তো তিন থেকে চারটি ঘর, ওই যে প্রবল বৃষ্টি হলো সে সময় মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র নয়টি জায়গা আমরা পেয়েছিলাম, যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র নয়টি জায়গায়।’

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসিসহ সব কর্মচারীরা ছিল, তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু…এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে?’

নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের আরও সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাই হোক, আমরা সেগুলো মোকাবিলা করেছি। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে আরও সর্তক থাকা দরকার।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা মহামারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪