এরফান হোছাইন, কক্সবাজারঃ
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশন। আইকনিক ইন্টারন্যাশনাল রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের জন্যে হবে অন্যতম আকর্ষণ। ঝিনুক আকৃতির স্টেশনটির অবস্থান হবে কক্সবাজার বাস টার্মিনালের বিপরীতে চৌধুরীপাড়ায়।
কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে সরকার যে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে দৃষ্টিনন্দন এই স্টেশন তারই অংশ।
কক্সবাজার বাস টার্মিনালের পাশেই একটি বড়সড় ঝিনুক তৈরি করছে রেলওয়ে। ঝিনুকটির দুই অংশের মাঝে ফাঁকা থাকবে ছয় তলা উচ্চতার সমান। এই ঝিনুকটির পেটেই হবে মূল স্টেশন, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের সব সুবিধা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত রেললাইনের ‘রুট এলাইনমেন্ট’ পিলার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলছে জমি অধিগ্রহণ কাজ। উঁচু-নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে রেললাইনটি শেষ হবে সমুদ্রতীরের একেবারে কাছে। এ জন্য ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর ও বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়েছে। এ রুটে ১৪০ কিলোমিটার নতুন ‘ডুয়েল গেজ’ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। বনভূমির যেসব স্থানে বন্যপ্রাণী ও হাতির বিচরণ এলাকা, সেসব স্থান চিহ্নিত করে ‘প্যাসেজ’ নির্মাণ করা হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত থাকবে ৯টি রেলস্টেশন। এগুলো হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। তবে কক্সবাজারের প্রস্তাবিত রেলস্টেশন এলাকা এখনো ধানি জমি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চৌধুরীপাড়ার ওই স্থানটি চিহ্নিত করে রেখেছে। রামু থেকে চৌধুরীপাড়ায় কক্সবাজার স্টেশনে আসতে লাইনের দুটি স্থানে সড়ক ক্রসিং থাকবে।
দোহাজারি কক্সবাজার এবং কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির এই স্টেশন। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।