ডেস্ক নিউজ:
২১ বছর পর আবারও অলিম্পিকের ফাইনালে স্পেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্বাগতিক জাপানকে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড অ্যাসেনসিও। ৭ আগস্ট আসরের ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে লড়বে স্পেন।
ম্যাচের বয়স তখন ১১৫ মিনিট। দারুণ শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় অ্যাসেনসিও। বদলি হিসেবে মাঠে নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এই গোলেই শিরোপার দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় স্পেন। ডাগআউটে তখন উল্লাসে মেতে ওঠে স্প্যানিশ শিবির। দীর্ঘ ২১ বছর পর আবারও ফাইনালে পা রাখলো ১৯৯২ সালের বার্সা অলিম্পিকের স্বর্ণ জয়ীরা। অন্যদিকে স্বাগতিক হয়েও শেষ পর্যন্ত প্রাণপণ লড়াই করে হারের তিক্ততা পায় জাপান।
অথচ সাইতামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে স্প্যানিশরা। বেশকটি আক্রমণ চালিয়ে জাপানিজদের রক্ষণ ব্যস্ত রাখে পেদ্রি-রাফায়েল-মিকেলরা। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে ওয়ান টু ওয়ানে পেয়েও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরোয়ার্ড রাফায়েল মির।
৪ মিনিট পর সতীর্থের পাস থেকে গোল করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় জাপানের মিডফিল্ডার তাকাফুসা কুবা। ফলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
বিরতির পরও কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুদল। তবে ২ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি সুযোগ পেয়েও জাপানের ডিফেন্ডারদের রক্ষণদেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডরা।
যদিও এক পর্যায়ে স্বাগতিকরাও ছেড়ে কথা বলেনি অতিথিদের। ৭৯ মিনিটে লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু কুবার শট রুখে দেন স্প্যানিশ গোলকিপার সিমন। শেষ দিকে দাপুটে ফুটবল খেলেও গোলের দেখা পায়নি স্পেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা থাকে গোলশূন্য সমতায়।
এরপর অতিরিক্ত সময়ে একবারেই ছন্দহীন ফুটবল খেলে দুদল। তবে ম্যাচের শেষ দিকে অপেক্ষার পালা ফুরোয়। মিকেলের অ্যাসিস্টে কাজের কাজটি করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি অ্যাসেনসিও। ২০০০ সালের পর আবারও ফাইনালে স্প্যানিশরা।
অন্যদিকে টোকিও’র কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ সেমিফাইনালে মেক্সিকোকে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-১ ব্যবধানে হারায় ব্রাজিল। অপেক্ষা ছিল ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কে হয়? অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। ফাইনালে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে দু’দল।