ডেস্ক নিউজ:
আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন ও নৌযান চলাচল করবে। চলমান ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধের মধ্যে শ্রমিকদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে এই অনুমতি দেয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ব্যবসায়ীদের অনুরোধে কাল থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণায় কঠোর লকডাউনেও সড়কের চিত্র পাল্টে গেছে অনেকটাই। কাজে যোগ দিতে লকডাউনের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ও তার আশেপাশের কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।
তবে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলে ফিরতে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে, জানালেন কারখানার কর্মীরা। সকাল থেকে ফেরিঘাটগুলোতে ছিল মানুষের ব্যাপক ভিড়।
ভোর থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে দেখা গেছে ঢাকামুখো মানুষের উপচে পড়া মানুষ। এ্যাম্বুলেন্সসহ অল্প কয়েকটি গাড়ি বাদে পুরো ফেরিতেই কেবল মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগ নেই জানিয়ে যাত্রীরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তেই এমন ভোগান্তি তাদের।
এই পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
রাত ৮টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ–এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এই মুহূর্ত থেকে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় পর যে লকডাউন শুরু হয়েছে, তাতে সব শিল্প কারখানাও ৫ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সরকারই জানিয়েছিল।