বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। ক্ষেত প্রস্তুত করতে দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। এ বছর আমতলীতে ১৫০০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত বছর ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চলতি বছরে তা বেড়ে ১৫০০ শত হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বেলে ও দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় উপজেলায় রসালো তরমুজ চাষ ভালো হয়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী তরমুজের চাষ ও ফলন ভালো হয়। গত বছর হঠাৎ বৃষ্টি ও মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ তরমুজ চাষিরা লোকসানে পড়ে। এ কারনে অনেক চাষী এ বছর তরমুজ চাষ করছেন না।
খোঁজ নিয়ে ও বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার আমতলী সদর, হলদিয়া, আঠারগাছিয়া, চাওড়া, কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা ইতামধ্যে জমি চাষাবাদ করে বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। চাষীরা বীজ বপনের জন্য জমিতে গর্ত তৈরি করছেন। এ কাজ করতে ঘরের নারী ও শিশুরাও বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি তারাও মাঠে কাজ করছেন। গত বছর এ উপজেলায় ১৫০০ জন চাষী তরমুজ চাষ করলেও চলতি বছরে ২ হাজার চাষী তরমুজ চাষ করছেন।
উত্তর রাওঘা গ্রামের তোফাজ্জেল মীর বলেন, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর সারে তিন হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করার জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছেন। দুই এক দিনের মধ্যে জমিতে বীজ বপনের জন্য গর্ত তৈরি করবেন।
অপরদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ বীজের দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছে একাধিক তরমুজ চাষীরা। বর্তমানে বাজারে বিগ ফ্যামিলি (১০০ গ্রাম) এক কৌটা ২৮০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা, জাগুয়া ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ শত টাকা ও এশিয়ান বীজ ১৮০০ থেকে ২৫০০ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন। ওই বীজ গত বছরের তুলনায় প্রতিটি কৌটায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা গ্রামের তরমুজ চাষী হেলাল গাজী জানান, তিনি এ বছর পাঁচ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। বাজারে বীজের দাম বেশি থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচও বেশি পড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ চাষির সংখ্যা বেশি। এ বছর উপজেলায় ২ হাজার চাষী তরমুজ চাষ করছেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগের মত বড় কোন ঘটনা না ঘটলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।