ডেস্ক রিপোর্ট-
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ট্রেনযাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ পূর্বের তুলনায় বেড়েছে।
আজ রবিবার সকাল থেকেই স্টেশনে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেনযাত্রার টিকিট। ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ট্রেন এলেই দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
তবে কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।
যাত্রীদের প্রত্যাশা, সবসময় রেলওয়ে এমন সার্ভিস থাকলে টিকিটবিহীন যাত্রী কমে যাবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ‘ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই পরিবার নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। এবার গ্রামে সবার সঙ্গে ঈদ করব এটা ভাবতেই কেমন যেন ভালো লাগছে।’
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেনই একমাত্র ভরসা। খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট পেয়েছি। আশা করি, তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।’
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে।
জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে আরও বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। আজ রবিবার বিক্রি হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এছাড়া,১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ৯ এপ্রিল।