স্টাফ রিপোর্টার-
মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর সংঘাতে পালিয়ে আসা দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যদের সমুদ্রপথে ফেরাতে বাংলাদেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অনুমতি পেলে আজ শনিবার রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে সামরিক জাহাজ যাত্রা শুরু করবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো প্রক্রিয়া শেষ করে এ ব্যাপারে অনুমতি দেবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে পালিয়ে আসাদের ফেরত পাঠাতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ আকাশপথে ফেরানোর প্রস্তাব দিলে দেশটির জান্তা সরকার গভীর সমুদ্রপথে ফেরত নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। মিয়ানমারের এমন আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার নৌ জেটি দিয়ে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে ঢাকা। দিনক্ষণ ঠিক হলে মিয়ানমার থেকে আসা সামরিক জাহাজকে কক্সবাজার নৌ জেটিতে ভেড়ানো হবে। এরপর পালিয়ে আসা বিজিপি ও জান্তা অনুগত সেনা সদস্যদের একসঙ্গে ফেরত পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র জানায়, রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই অব্যাহত থাকায় মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের একটি জাহাজ ইয়াঙ্গুন থেকে সিত্তে পাঠিয়েছে। সিত্তে থেকে জাহাজটি কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকতের কাছে পৌঁছাবে। সেখান থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে জান্তা সরকার। যদিও এ মুহূর্তে সিত্তে বন্দরসহ রাখাইনের আশাপাশ এলাকায় মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক জাহাজ আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে মোতায়েন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানোর প্রস্তুতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরগুলো প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজটি প্রবেশের অনুমতি দেবে।