বিনোদন ডেস্ক:
নারী বলতে এখনও আমাদের মানুষ পটে একটা খুব আট পৌরে ছবি ভেসে ওঠে। নারীকে আমরা মা-বোন স্ত্রী বা কন্যা হিসেবে ঘরের চার দেয়ালে ঘর সংসারের জন্য শ্রম বা মেধা দেয়া দেখতেই অভ্যস্ত। যদিও সময়ের তালে নিজেদের আমরা অগ্রগামী বলে দাবি করি।
নারীবাদ বা সমাজের অগ্রগতিতে নারীর ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে আমরা নিয়তই আলোচনা করে থাকি। কিন্তু আজও নারীকে প্রচলিত অর্থে পেশাগত জীবনে স্বাগত জানানোর কৃষ্ঠাবোধ করি। এর মধ্য থেকেই কিছু নারী নিজেদের অদম্য মনোবল সাহসিকতা আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে হয়ে ওঠেন অসাধারণ । তেমনি একজন নারী সানজিদা আলম শিউলি ।
শিউলি ১৯৯৩ সালে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ফতেপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম – মো: খোরশেদ আলম এবং মাতার নাম-আশরাফুজ্জাহান হেনা
টাঙ্গাইলের শিউলি আজ সারা বাংলার একজন পরিচিত মুখ বলা চলে। শিউলি বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন দক্ষ কোরিওগ্রাফার হিসাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি ছিল প্রবল ইচ্ছা শক্তি। আর সেই ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন একজন সফল কোরিওগ্রাফার হিসাবে।
তার সু পরিচিতি ও দক্ষতার কারণে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। মঞ্চ নাটক, নৃত্যনাট্য, টেলিভিশন নাটক, বিজ্ঞাপন সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কোরিওগ্রাফার হিসাবে কাজ করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন শিউলি। তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য , চলচ্চিত্র – বড্ড ভালোবাসি, তবুও পথচলা, ৭১ এর কথা,বিজ্ঞাপন –
এইচ এন্ড এস কুকওয়ার,এক্সেল রিয়েল এস্টেট, রিটায়ার্ডমেন্ট হোমস,বন্ধন পাওয়ার হোয়াইট সহ বেশ কয়েকটি। মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছে- আর কত দিন ইস্টিশনে, স্বপ্নঘুড়ি, নকশী কাঁথার মাঠ ইত্যাদি।
তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন – এস এস এটা এন্টারটেইনমেন্ট, ফিল্ম হকার, এএফসি সিনেমা, স্বপ্ন তরুর সঙ্গে।
সময়ানুবর্তিতা, কঠোর অনুশীলন, সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব আর নতুন উদ্ভাবন ও প্রচলিত ধারার সাথে আধুনিকতার মিশ্রণ করার দৃষ্টিভঙ্গি তার সৃষ্টিকে করে তুলেছে হৃদয়গ্রাহী।
শত বাধা আর অবহেলা পেরিয়ে সানজিদা আলম শিউলি এখন একজন প্রতিষ্ঠিত কোরিওগ্রাফার।
সানজিদা আলম শিউলি দৈনিক আমার সময় কে বলেন – আমি যতদিন সুস্থ্য ও সাবলীল থাকবো ততদিন আমি নিজেকে একজন কোরিওগ্রাফার হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। তিনি আরো বলেন আমি গতানুগতিক ধারার বাহিরে কাজ করতে পছন্দ করি এবং এ পর্যন্ত যা করেছি তা দর্শকের কাছে একটু ভিন্ন ধারার মনে হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
সামনে আরো তিনটি কাজের আলোচনা হচ্ছে এর মধ্যে দুইটি চলচ্চিত্র এবং একটি মঞ্চনাটক ।