1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আগামীকাল প্যারাজাম্প উপলক্ষে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশনের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, আহত ৮ প্রার্থীরা চাইলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারবেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে হাদিকে বিদেশে পাঠাতে ব্যবস্থা নেবে সরকার- প্রধান উপদেষ্টা ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ গভীর নলকূপ হতে উদ্ধারকৃত শিশু সাজিদকে মৃত ঘোষণা দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শিশু সাজিদকে উদ্ধার তফসিল ঘোষণা, ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় সিআইডির দুই সদস্যসহ ৫ জন গ্রেফতার

  • সময় : সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৩

স্টাফ রিপোর্টার-

রাজধানীর ভাটার থানার কুড়িল এলাকার এক ট্রাভেল ব্যবসায়ীকে পুলিশেরর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে অপহরণের অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর)।

ডিবি বলছে, গ্রেফতার দুই পুলিশ সদস্য সিআইডিতে কর্মরত। এই দুজনের নেতৃত্বে একটি অপহরণকারী চক্র রাজধানী জুড়ে ধাপিয়ে বেড়াত। সম্প্রতি এক ভুক্তভোগীর মামলার তদন্তে নেমে এই দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলো- উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম (৩৯), কনস্টেবল আবু সাঈদ (৩২), বরিশালের উজিরপুরের মো. ইমন (২১), একই উপজেলার আব্দুল্লাহ আল ফাহিম (২১) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শরীফ হোসেন (২৬)। ফাহিম ও ইমনকে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। বাকি তিনজনকে গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) রবিবার গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার ( ২৫ ডিসেম্বর )  বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কাজ হলো তদন্ত করা। যখন কোনো থানায় কোনো মামলা হয় তখন সেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করা বা ছায়া তদন্ত করা হয়। ভাটারা থানায় চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে এক ট্রাভেল ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী হিসেবে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)র পরিচয় দিয়ে ফোন করে ধরে নিয়ে টাকা পয়সা আদায় শেষে বিভিন্ন স্থানে ফেলে যেতো। এমন বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) তদন্তের নামে। তদন্তের পর্যায়ে বরিশাল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে অপহরণ ও টাকা আদায়ের কথা স্বীকার। এই সময়ে তদন্তকারীরা জানতে পারে চক্রে  একজন পরিদর্শক ও আরেকজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের দুই পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছে।  যদিও এই পরিচয় সঠিক নয়। যিনি নিজেকে পরিদর্শক রবিউল পরিচয় দিয়েছেন তিনি আসলে একজন কনস্টেবল।  তারা নিজেদের ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে টাকা পয়সা আদায় করত।

সিআইডিতে কর্মরত দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অপহরণচক্রের সদস্যরাও জড়িত।
হারুন বলেন, পরবর্তীতে দুই জনের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর অপহরণ ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সিসিটিভি ফুটেজ, কল লিস্ট ও লোকেশন ট্রাকিং করে নিশ্চিত হওয়ার পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসলে বাংলাদেশ পুলিশ কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নিবে না। যেহেতু আমরা অপরাধীকে গ্রেফতার করি। সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপহরণকারীদের সঙ্গে মিশে অপরাধ করে তখন তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অতীতেও ছাড় দেই নি, ভবিষ্যতেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

যে দুজন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতরা করা হয়েছে আমরা তাদের রিমান্ডে আনা হবে। তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হবে আর কেউ জাড়িত আছে কি না। আথবা বর্তমান ও সাবেক কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত আছে কি না আমরা জানার চেষ্টা করবো।

এক প্রশ্নের জবাববে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ভুয়া পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি সদস্য গ্রেফতার করেছি। এবারও আমরা সিআইডি পরিচয়ে একটি অপহরণ চক্র ধরতে গিয়ে আসল সিআইডি গ্রেফতার করেছি। প্রতিবছর পুলিশ বাহিনীতে খারাপ কর্মকান্ডের কারণে যে পরিমাণ শাস্তি পায় অন্য কেনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে পায় না। এক দিনে পুলিশ বাহিনীর  উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেমন মানবিক অন্য দিকে এসব বিষয়ে অমানবিক ও কঠোর। কারণ সাধারণ মানুষকে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণের মতো অপরাধ করবে এটা পুলিশ বাহিনী বরদাস্ত করবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪