স্টাফ রিপোর্টার-
বিজয়ের মাসে প্রতীক্ষিত যাত্রার পর পর্যটক নিয়ে প্রথম পর্যটন নগরীতে পৌঁছেছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ১০২০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা কর ট্রেনটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায় টেন।
তিনি বলেন, সিডিউল ছিল সকাল সোয়া ৭টায় প্রথম রেলটি স্টেশনে পৌঁছাবে। যাত্রায় একটু বিলম্ব হওয়ায় পৌঁছাতেও আধাঘণ্টার মতো বিলম্ব হলো। সংশ্লিষ্ট সবাই রেলটি আসার অপেক্ষায় ছিলাম। ঢাকাগামী যাত্রীদের যেভাবে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়েছিল ঠিক তেমনি রেলে প্রথম পর্যটক হয়ে আসা যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফুল ও লিফলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অভিবাদন জানিয়ে ঝামেলামুক্ত ভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
ট্রেনে প্রথম কক্সবাজার আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত গাজীপুরের শ্রীপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম। তার মতে, যারা বাসে দূরের যাত্রা করতে পারে না এবং বিমানের ব্যয়বহুল ভাড়া যাদের অসাধ্য তাদের জন্য রেল সংযোগ সরকারের একটি বড় উপহার। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পর্যটকদের কক্সবাজার আগমন খুবই আরামদায়ক হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের গতিসীমা নির্ধারণ ১২০ কিলোমিটার। যাত্রা পথে ট্রেনটি চট্টগ্রাম ও ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্টেশনে দাঁড়ায়। দিনে ছেড়ে যাওয়া রেলটি রাত ৯টার দিকে ঢাকায় পৌঁছায় আর রাতে ছেড়ে আসা ট্রেনটি সকালে পৌঁছাচ্ছে কক্সবাজার।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার ফরহাদ বিন চৌধুরী বলেন, বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি আগেই নেওয়া হয়েছিল। প্রথম রেলে কক্সবাজার থেকে ১০২০ যাত্রী এবং ঢাকা হতে সমপরিমাণ যাত্রী আনা-নেয়া হয়েছে। এ রুটে আপাতত দুটি ট্রেন চলাচল করবে। কক্সবাজার থেকে ট্রেন ছাড়বে দুপুর সাড়ে ১২টায়। চট্টগ্রাম হয়ে এটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সোয়া ৯টায়। অপরদিকে ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। এটি কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল সোয়া ৭টায়।
১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেল পথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রেল নেটওয়ার্কে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার জেলা।