স্টাফ রিপোর্টার-
২০টি শর্ত দিয়ে আগামীকাল কাল শনিবার আওয়ামী লীগেকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট এবং বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় ডিএমপির তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের সামনে তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) ড.খ: মহিদ উদ্দিন।
শর্তগুলো হলো-
স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশ এর যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। বেলা ১২:০০ ঘটিকার পূর্বে কোনক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে। সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোন সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোন বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না ।আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোন ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
এছাড়া জামায়াত কে শাপলা চত্বরে অনুমতি দেয়া হয়নি উল্লেখ করে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ডিএমপির প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রাজধানীর সম্মানিত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শাপলা চত্বরের আশে পাশে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক সহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এসকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে ঘিরে কেউ যদি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে তাহলে ডিএমপি আইনের মধ্যে থেকে সবকিছু মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।