গত আট বছরে বিভিন্ন কারণে মোট ৭৫০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৩টি বাঘ মারা গেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল টাইগার কনসারভেশন অথোরিটির (এনটিসিএ) দেওয়া এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা যায়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক সাংবাদিক সম্প্রতি তথ্য অধিকার আইনে এনটিসিএ’র কাছে বাঘের মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায়। এর প্রেক্ষিতে এনটিসিএ ওই সাংবাদিককে এ প্রতিবেদন দেন। যদিও তথ্য চাওয়া হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালে মে পর্যন্ত। কিন্তু এনটিসিএ ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেদন বলা হয়, গত ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কারণে মোট ৭৫০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে ৩৬৯টি, চোরা শিকারিদের হাতে মারা গেছে ১৬৮টি, নানা কারণে ‘জব্দ’ করতে গিয়ে মারা গেছে ১০১টি, দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে মারা গেছে ৪২টি এবং ৭০টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
এতে আরো বলা হয়, গত আট বছরে সবচেয়ে বেশি বাঘ মারা গেছে মধ্যপ্রদেশে। এ রাজ্যে মারা গেছে ১৭৩টি বাঘ। এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে ৯৪টি, চোরা শিকারিদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৮টি, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছে ৬টি, ‘জব্দ’ করতে গিয়ে মারা গেছে ১৬টি এবং ১৯টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
মধ্যপ্রদেশের পর সবচেয়ে বেশি বাঘ মারা গেছে মহারাষ্ট্রে। এ রাজ্যে ১২৫টি বাঘ মারা গেছে। এছাড়া কর্ণাটকে ১১১টি, উত্তরখণ্ডে ৮৮টি, তামিলনাড়ুতে ৫৪টি, আসামে ৫৪টি, কেরালায় ৩৫টি, উত্তরপ্রদেশে ৩৫টি, রাজস্থানে ১৭টি, পশ্চিমবঙ্গে ১১টি, বিহারে ১১টি, ছত্তীসগড়ে ১০টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ৮টি, ওড়িষ্যায় ৭টি, তেলেঙ্গানায় ৫টি, দিল্লিতে ২টি, নাগাল্যান্ডে ২টি, হরিয়ানায় ১টি এবং গুজরাটে ১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ৮ বছরে এসব জায়গায় মারা যাওয়া বাঘের মধ্যে মহারাষ্ট্রে চোরা শিকারিদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে ২৮টি, কর্ণাটকে ২৮টি, আসামে ১৭টি, উত্তরপ্রদেশে ১২টি, তামিলনাড়ুতে ১১টি, কেরালায় ৬টি এবং রাজস্থানে ৩টি।
তবে বাঘ নিধনকারী এসব চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি না তা সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।