আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় মাত্র দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, জেজু এয়ারের বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিমানটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন কেবিন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
ইয়োনহাপ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনার কারণ বা রানওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইয়োনহাপ জানিয়েছে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই বিমানের এক অংশে আগুন ধরে যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উঠছে।তবে ভিডিও ফুটেজটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
বিবিসি লিখেছে, এই দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইন। তাদের কোনো উড়োজাহাজ এই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পড়ল।