প্রযুক্তি ডেস্ক
‘সেফ চ্যাট’ নামের একটি মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে সাইবার অপরাধীরা। ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপটি ফোনে নামালেই হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ অপশনে সংরক্ষণ করা সব তথ্য চলে যায় সাইবার অপরাধীদের কাছে। হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ অপশনে থাকা তথ্যগুলো এনক্রিপশন করা না থাকায় ব্যবহারকারীদের সব তথ্য জানতে পারে সাইবার অপরাধীরা। ক্ষতিকর অ্যাপটির সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইফার্মা।
সাইফার্মার তথ্যমতে, সেফ চ্যাট অ্যাপ নামানোর সময় ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট, এসএমএস, কল লগ, স্টোরেজ ও জিপিএস লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নেয়। এমনকি অ্যান্ড্রয়েডের ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সুবিধা নিয়ন্ত্রণেরও অনুমতি নেয়। এর ফলে ব্যবহার না করলেও অ্যাপটি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং গোপনে হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান করা তথ্য, ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। অ্যাপটির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে সাইবার অপরাধীরা।
জানা গেছে, সেফ চ্যাট অ্যাপ ব্যবহারের জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একটি লিংকযুক্ত বার্তা পাঠায় সাইবার অপরাধীরা। বার্তায় অ্যাপটির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা লেখার প্রলোভন দেখানো হয়। অ্যাপটির ইন্টারফেস এবং ব্যবহার পদ্ধতি সাধারণ মেসেজিং অ্যাপের আদলে তৈরি হওয়ায় দ্রুত বার্তা আদান-প্রদানের জন্য অনেক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীই অ্যাপটি নামিয়ে থাকেন।
সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে অনলাইন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেসেজিং অ্যাপ নামানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। শুধু তা-ই নয়, ফোনে সেফ চ্যাট অ্যাপ নামানো থাকলে দ্রুত মুছে ফেলারও অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
বা বু ম / অ জি