নিজেস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট ও উন্নত দেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের সম্ভাবনাময় দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমাদের দেশে ভয়ংকর মাদক প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলএসডি-আইসের মতো ভয়ংকর মাদক পাশের দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে মাদকাসক্তি ও মানসিক হাসপাতাল ‘আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র’ উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাদক খুব ভয়ংকর নেশা, দাদার আমল থেকেই মাদক ছিল। সে সময় আফিম, গাঁজা খেয়ে মাদকসেবীরা চোখ লাল করে বসে থাকতো। এরপরে দেশে হিরোইন আসে। হিরোইনের পর ইয়াবা এসেছে। এলএসডি ও ভয়ংকর আইস এসেছে। এই সমস্ত ভয়ংকর মাদকগুলো আমাদের দেশে তৈরি হয়নি। এসব মাদক এসেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি বলেন, মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিধি ছোট ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি বিস্তৃত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর করা হয়েছে। দেশে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে বর্ডারে আমাদের বিজিবি রয়েছে। পুলিশ, আনসার, র্যাব সবাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে বলেছেন। আমরা সেই জায়গায় থাকতে চাই। এজন্য যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত হোক, যারাই মাদক ব্যবসায়ী হোক, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ড.মো. রাহেনুল ইসলাম, শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যন মো. মিশউর রহমান মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের বিভিন্ন ইউনিট ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বা বু ম / অ জি