ডেস্ক নিউজ:
ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে তিনি মারা যান। আজ হুমায়ুন আজাদের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।খবরে প্রকাশ, ২০০৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী হুমায়ুন আজাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হুমায়ুন আজাদ সুস্থ হয়ে ওঠেন। ওই বছরের ৭ আগস্ট একটি গবেষণা বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানি যান। এর পাঁচ দিন পর ১২ আগস্ট মিউনিখের নিজ ফ্ল্যাটে নিজ কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন আজাদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতি-ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষক।
হুমায়ুন আজাদের সাতটি কবিতার বই, ১৩টি উপন্যাস ও ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, সাতটি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক, আটটি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধ-সংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক বই তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু-পরবর্তী সময়ে প্রকাশ হয়।
হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে—বাংলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড), অলৌকিক ইস্টিমার, ৫৬ হাজার বর্গমাইল, সবকিছু ভেঙে পড়ে, রাজনীতিবিদগণ, একটি খুনের স্বপ্ন, পাক সার জমিন সাদ বাদ, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা, নারী, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাঙলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড), ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু, অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল, শামসুর রাহমান : নিঃসঙ্গ শেরপা, কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু, বাক্যতত্ত্ব, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ, দ্বিতীয় লিঙ্গ, আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে প্রভৃতি।
মৃত্যুবার্ষিকীতে হুমায়ুন আজাদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন সাহিত্যানুরাগীরা।