বরগুনা পৌর শহরের থানাপাড়া ( জেলা পরিষদের সামনে) গণপূর্ত বিভাগের জলাশয় অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক। সরকারী জলাশয়ে মাছ চাষ ও সরকারী সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করে ব্যক্তিগত অফিস উঠানোর অভিযোগ উঠেছে রফিকের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকবছর ধরে গনপূর্ত বিভাগের জলাশয় দখল করে আছেন তিনি। রফিকুল ইসলাম বরগুনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। মৃত নজরুল ইসলাম বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত গণপূর্ত বিভাগের এই জলাশয়টি দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন স্থানীয় রফিকুল ইসলাম। জলাশয়ের পাশেই সরকারি জমিতে একটি ব্যক্তিগত অফিস তুলেছেন রফিক। বর্তমানে অফিসটি কমিউনিটি পুলিশের বিট কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জলাশয়ে মাছ চাষের ফলে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ বরগুনা সুত্রে জানা যায়, গত ২০০৮ সাল থেকে গণপূর্ত বিভাগের সকল পুকুর/জলাশয় লিজ দেয়া বন্ধ আছে। ভবিষ্যতেও নিজেদের আর কোন পুকুর / জলাশয় লিজ দেবে না গণপূর্ত বিভাগ। গনপূর্ত বিভাগের কোন পুকুর বা জলাশয় বর্তমানে লিজ দেয়া নেই। যারা দখল করে আছে তারা অবৈধভাবে ভোগ করে আসছে। এমন কোন অবৈধ দখলদার সর্ম্পকে তথ্য পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবে গণপূর্ত বিভাগ।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এই জলাশয়টি আমি ডিসি অফিস থেকে লিজ নিয়েছিলাম। লিজের মেয়াদ শেষ হলে আমি পুনঃরায় লিজ নেওয়ার জন্য ডিসি অফিসে যোগাযোগ করলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক বলেন বরগুনা গণপূর্ত বিভাগে যোগাযোগ করতে।
বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গনপূর্ত বিভাগের সকল পুকুর/জলাশয় লিজ দেয়া বন্ধ আছে। পরে আমি তাকে বললাম সরকারি কোন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রয়োজন হলে আমি পুকুর ছেড়ে দেব।লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কিভাবে পুকুর দখল করে আছেন? জানতে চাইলে রফিক বলেন, শুধু আমার একার পুকুর না, গনপূর্তের এরকম একাধিক পুকুর আছে যেখানে মাছ চাষ হচ্ছে।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের কোন পুকুর বা জলাশয় খালি থাকবেনা। এখন সরকার যদি মনে করে যে আমার পুকুরের লিজ নাই, আমি অবৈধ তাহলে আমি অবশ্যই পুকুর ছেড়ে দেব।বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের এসডি আবদুল আজিজ এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।