পঞ্চগড় প্রতিনিধি-
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা হঠাৎ ৮ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। ফলে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা।
জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ ও হিমশীতল বাতাস। গতকালও সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চারদিক ছিল কুয়াশায় আচ্ছন্ন।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে এবং এই মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বুধবারও এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমশীতল বাতাস বয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে জেলার মানুষ। বিশেষ করে চা শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি,কাঠমিস্ত্রি,রিকশা ভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের বেশি দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় বোরো বীজের চারা, আলু সহ শীতকালীন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কুয়াশার কবল থেকে চাষীদের আলু ক্ষেত রক্ষায় স্প্রে করতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে এবং এই মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ আর ঘণ্টায় বাতাসের গতি ছিল ১০-১২ কিলোমিটার।