নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অনেকগুলো এনজিও আছে নিয়মকানুন মেনে চলে না। সেজন্য এনজিও ব্যুরোকে আজকের সভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত এনজিও নিয়মিত হিসাবপত্র ও অডিট রিপোর্ট যেন ঠিকভাবে দেয়। যেগুলোতে সন্দেহজনক লেনলেন করে হয় মনে সেগুলো পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে। সন্দেহজনক লেনদেন থাকলে পুলিশ বিভাগ সেগুলো খতিয়ে দেখবে, তদন্ত করে দেখবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে যেন টাকা পাচার না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারা হুন্ডির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে সেগুলো দেখার জন্যও বলা হয়েছে। কিছু এনজিও… সংখ্যাটা শতাধিকও হতে পারে যারা কোথা থেকে ফান্ড পায়, এই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ করে এগুলোর তথ্য দিতে হবে। নিয়ম আছে যে তারা কোথা থেকে টাকা পায় এবং কবে কীভাবে খরচ করল অডিট রিপোর্ট এনজিও ব্যুরোকে দেবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্দেহজনক লেনদেন হয় এনজিও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এরকম কোনো তথ্য এসেছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এসব এনজিও নিয়ে পত্রিকায় লেখা হয়। শোনা কথার ওপর তো সিদ্ধান্ত হয় না। সিদ্ধান্ত নিতে হয় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সমস্ত লেনদেন সন্দেহজনক সেগুলোর রিপোর্ট আমরা এনজিওগুলোর কাছে চেয়েছি৷ আমাদেরকে যা বলা হয়েছে তা সঠিক কি না তা যাচাইয়ের জন্য এ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামকে আবার মাঠে নামানো হলো। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। এটা রাজনৈতিক প্রশ্ন। এটার জবাব দেবে আওয়ামী লীগের যিনি মুখপাত্র তিনি। এই মুহূর্তে আমি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী হিসেবে কোনো মন্তব্য করছি না। আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা করেছি। সেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকি।.
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে যেন টাকা পাচার না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারা হুন্ডির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে সেগুলো দেখার জন্যও বলা হয়েছে। কিছু এনজিও… সংখ্যাটা শতাধিকও হতে পারে যারা কোথা থেকে ফান্ড পায়, এই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ করে এগুলোর তথ্য দিতে হবে। নিয়ম আছে যে তারা কোথা থেকে টাকা পায় এবং কবে কীভাবে খরচ করল অডিট রিপোর্ট এনজিও ব্যুরোকে দেবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্দেহজনক লেনদেন হয় এনজিও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এরকম কোনো তথ্য এসেছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এসব এনজিও নিয়ে পত্রিকায় লেখা হয়। শোনা কথার ওপর তো সিদ্ধান্ত হয় না। সিদ্ধান্ত নিতে হয় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সমস্ত লেনদেন সন্দেহজনক সেগুলোর রিপোর্ট আমরা এনজিওগুলোর কাছে চেয়েছি৷ আমাদেরকে যা বলা হয়েছে তা সঠিক কি না তা যাচাইয়ের জন্য এ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামকে আবার মাঠে নামানো হলো। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। এটা রাজনৈতিক প্রশ্ন। এটার জবাব দেবে আওয়ামী লীগের যিনি মুখপাত্র তিনি। এই মুহূর্তে আমি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী হিসেবে কোনো মন্তব্য করছি না। আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা করেছি। সেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকি।
জামায়াত মাঠে নামলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা এরকম মনে করছি না। মাঠে নামলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যারা নস্যাৎ করে, তারা যদি মাঠে না নামে তাহলে আরও বেশি করবে। মাঠে নামলেই যে হয় তা নয়। আমরা সবসময় চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকুক। আওয়ামী লীগ সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক এমনটা চায়। ভোট হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে প্রয়োগ করতে পারে সেটাতে আমরা বিশ্বাস করি।
দেশবাসীর উদ্দেশে মোজাম্মেল হক বলেন, বিদেশে বসে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে। চমকপ্রদ ও আজগুবি কথা বলছে, এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। একেকদিন একেক রকম গুজব তারা ছড়ায়, দেশবাসীর জন্য যা খুব অকল্যাণকর। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশে ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস না থাকার কারণে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি না। যারা এগুলো করে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এই কমনা করছি।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত যেসব অনলাইন পত্রিকা আছে, সেগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নেওয়ার অনুরোধ করছি। কারণ রেজিস্ট্রেশন থাকলে জবাবদিহিতা চাওয়া যায়। নীতিমালা ভঙ্গ করলে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যায়। রেজিস্ট্রার্ডবিহীন, নামসর্বস্ব পত্রিকা মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করার সুযোগ পায়। সে কারণে আমাদের আহ্বান অনলাইন পত্রিকা যারা চালান রেজিস্ট্রেশন করুন। নির্ধারিত নিয়ম ও সময়ে যদি রেজিস্ট্রেশন না করে সেগুলো যাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নইলে যারা ভালো নিউজ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বা বু ম / এস আর